পুলিশের পোষাকের আড়ালে মানবিকতায় দীপ্ত দীপশ্রী

15th April 2021 9:39 am হুগলী
পুলিশের পোষাকের আড়ালে মানবিকতায় দীপ্ত দীপশ্রী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : রাজ্যে যখন মিটিং-মিছিল অব্যাহত।  রাজনৈতিক টানাপোড়েনের যুদ্ধে একে  অপরের বিরুদ্ধে শাণিত তরোয়াল। সেই সময় ই বাড়ছে করোনার গ্রাফ। আতঙ্কে আশঙ্কায় চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় বেশ কটি পরিবার নিত্য অভাব-অনটনের মধ্যে উপোসকে সঙ্গী করে কোন ক্রমে বেঁচে রয়েছেন শেওড়াফুলি , বৈদ‍্যবাটী এলাকায় । সামান্য কিছু ধুপ, ফুল,বিস্কুট, চানাচুর নিয়ে হেঁকে বেড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় এবং স্টেশন চত্বরে। দিনের শেষে সেইভাবে রোজগার হয় না তাদের। এমনই পরিবারদের মধ্যে রয়েছে ৭০ পার করা  দম্পতির  পরিবার ।এই দৃশ্য দেখে মানবিক হয়ে ওঠে একদল যুবক। এগিয়ে আসে পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়াতে। আর তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসেন শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  দীপশ্রী সেনগুপ্ত। আসলে কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। যেমন প্রশাসনিক দিকটা সামলাচ্ছেন,  তেমনি মানবিক দিকটা একই ভাবে সামলাচ্ছেন। পুলিশ অমানবিক বারবার যখন সংবাদ শিরোনামে আসে। পুলিশের মানবিক দিকটা হয়তো আমরা দেখতে পাইনা। মানবিকতার জ্বলন্ত প্রমান করে দেখালেন শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপশ্রী সেনগুপ্ত। তার হাত ধরে পরিবার গুলো পেলো এক মাসের খাদ্য সামগ্রী। পরিবার গুলো হাতে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আবেগে আপ্লুত। প্রমান হয়ে গেলো মানুষ মানুষের জন্যে। দীপশ্রী সেনগুপ্ত বলেন  বিগত দিনেও পুলিশ প্রসাশন যে ভাবে গরীর মানুষেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন,  আগামী দিনেও আমরা তাদের পাশে থাকবো।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।