নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : রাজ্যে যখন মিটিং-মিছিল অব্যাহত। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের যুদ্ধে একে অপরের বিরুদ্ধে শাণিত তরোয়াল। সেই সময় ই বাড়ছে করোনার গ্রাফ। আতঙ্কে আশঙ্কায় চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় বেশ কটি পরিবার নিত্য অভাব-অনটনের মধ্যে উপোসকে সঙ্গী করে কোন ক্রমে বেঁচে রয়েছেন শেওড়াফুলি , বৈদ্যবাটী এলাকায় । সামান্য কিছু ধুপ, ফুল,বিস্কুট, চানাচুর নিয়ে হেঁকে বেড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় এবং স্টেশন চত্বরে। দিনের শেষে সেইভাবে রোজগার হয় না তাদের। এমনই পরিবারদের মধ্যে রয়েছে ৭০ পার করা দম্পতির পরিবার ।এই দৃশ্য দেখে মানবিক হয়ে ওঠে একদল যুবক। এগিয়ে আসে পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়াতে। আর তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসেন শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপশ্রী সেনগুপ্ত। আসলে কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। যেমন প্রশাসনিক দিকটা সামলাচ্ছেন, তেমনি মানবিক দিকটা একই ভাবে সামলাচ্ছেন। পুলিশ অমানবিক বারবার যখন সংবাদ শিরোনামে আসে। পুলিশের মানবিক দিকটা হয়তো আমরা দেখতে পাইনা। মানবিকতার জ্বলন্ত প্রমান করে দেখালেন শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপশ্রী সেনগুপ্ত। তার হাত ধরে পরিবার গুলো পেলো এক মাসের খাদ্য সামগ্রী। পরিবার গুলো হাতে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আবেগে আপ্লুত। প্রমান হয়ে গেলো মানুষ মানুষের জন্যে। দীপশ্রী সেনগুপ্ত বলেন বিগত দিনেও পুলিশ প্রসাশন যে ভাবে গরীর মানুষেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আগামী দিনেও আমরা তাদের পাশে থাকবো।